Friday, February 28, 2020

ও আই সি সম্মেলনে মুসলিম দেশ হিসেবে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা এবং অতঃপর

বঙ্গবন্ধুর প্রথম ও আই সি সম্মেলনে যোগ দেয়ার বিষয়টিও ইন্দিরা গান্ধী সহজ ভাবে গ্রহণ করেন নি।
অভিযোগ উঠেছিল যে শেখ মুজিব কেন ইন্দিরা গান্ধীর অনুমতি ছাড়া ইসলামিক কনফারেঞ্চে লাহোর সফর করেছিল এবং ঐ সম্মেলনেই জাতিরজনক বাংলাদেশকে ইসলামী রাস্ট্র হিসেবে ঘোষণা দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে ডঃ কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম দের বঙ্গবন্ধু ডেকে বলেছিলেন- তোমরা জাতীয় সংবিধান লিখবে কিন্তু ধর্মনিরপেক্ষতার কথা ভুলে যাবে না।
আমরা মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশ স্থাপন করলেও অন্যান্য ধর্মের সংখ্যালঘু ভাইয়েরাও যার যার ধর্ম তাদের ইচ্ছে মত, ধর্ম গ্রন্থানুযায়ী পালন করবে।
স্বাধীনতার ৫০ বছরের ইতিহাসে যতগুলো হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলা নির্যাতন নিপীড়ন ঘর বাড়ী সম্পদ জমি জমা দখল করে ভিটে মাটি কেড়ে নিয়ে সর্বস্বান্ত করেছে; ঐ সকল সন্ত্রাসীদের আতি পরিচয় খুজলে দেখবেন বেশীর ভাগই স্বাধীনতা বিরোধী অন্যথায় উগ্রবাদী মৌলবাদী হিংস্র জানোয়ার।

Image result for বঙ্গবন্ধুর ইন্দিরা গান্ধী বঙ্গবন্ধু একটি শান্তির নীড় হিসেবে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠিত করে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন।
হয়নি; তিনি পারেন নি বহুমূখী সমস্যায় জর্জরিত যুদ্ধবিধস্ত বাংলাদেশ কে সমৃদ্ধ করতে। কারন আমাদের চরিত্র নৈতিক চরিত্র লোভ লালসা আমাদেরকেই পিছনে টেনে নিয়ে গিয়েছে।
যেমন এখন শেখ হাসিনার মন্ত্রী পরিষদের আ ক ম মোজাম্মেল হক সহ আব্দুস সোবহান গোলাপের মত লোভী দুর্নীতিপরায়ন নেতার কারনে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন দূরের কথা, শেখ হাসিনার ইচ্ছাগুলোই আজ ধূলায় লুন্ঠিত হতে যাচ্ছে এবং হবে।
বঙ্গবন্ধু দয়ালু ছিলেন বেশী, কারো উপর রাগ করলেও কিছুক্ষন পরে বলতেন - ঐ কই সেই ঘুষখোর, তার অর্থ তিনি মাফ করে দিয়ে আবার খবর নিচ্ছেন।
শেখ হাসিনা ত নারী । অক্ষম অধম অসহায় এতিম বিধবা এক বিদুষী মহিয়সী নারী। বঙ্গবন্ধুকে ভয় পেতো না ভালোবাসার কারনে কিন্তু শেখ হাসিনাকে ভয় করে এবং সে ভয়ের কারনেই কেউ শেখ হাসিনাকে পছন্দ করে না। এ কথা সামনে বলবার কারো সাহস নেই। হুজুর হুজুর আপা আপা এবং অযাচিত প্রশংসা। কোন মতেই কেউ সত্য কথা বলার সৎ সাহস রাখেনা।
তাই শেখ হাসিনা ও মন্ত্রী পরিষদ এবং সাংসদ ও নেতাদের মধ্যে গণ ভবনের একটা বিশাল দূরত্ব লক্ষ করা যায়।

No comments:

Post a Comment