মো: মাহমুদ হাসান ঃ বীর মুক্তিযোদ্ধা মোক্তেল হোসেন মুক্তি ১৭ই মে ২০১৭ বিকাল ৩.৪৫ এ
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEghK0eEf_YmeOt4vd6K4BoImNELkZQy6i-ESQwId_Ptz-WNVepCTkXdO5jDrdnHy5e_8R_Xv2dwHYMmSpFv-gpXWkaZxESnUA2HzuzurQFLxh0NutJRjWWAaIKMd3GMbx7E4cly2NmilpY/s320/1043960_742045422496441_1776129219_n.jpg)
নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী এবং “কালকিনি মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটির সভাপতি” বরাবরে আবেদন করে যে ফেসবুক স্ট্যাটাসটি দিয়েছেন, তা হুবহু নিচে উল্লেখ করা হলো: বীর মুক্তিযোদ্ধা মোক্তেল হোসেন মুক্তির ফেসবুক স্ট্যাটাস: মাননীয় নৌ পরিবহন মন্ত্রী মহোদয়, আপনি মাদারীপুর জেলার মুক্তিযোদ্ধাদের দায়িত্বে এবং কালকিনি মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটির সভাপতি। আপনার নিজের অবস্থান, আপনার মান-সন্মান, মর্যাদা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে আপনার অবদান থেকে আমরা শিখেছি। ৬৯ এর গণ অভ্যুত্থানের অগ্রভাগে আপনাদের শিখানো শ্লোগানে মূখরিত করেছি আমরা। আপনাদের প্রেরণা ও উৎসাহে মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছি আমরা। কেউ আপনার আত্মীয় নয়; কেউ আপনার পর নয়; সবাই আপনার নিকট সমান। আপনি আমাদের নেতা। আপনাকে আমরা মাদারীপুরবাসী আমাদের যোগ্য প্রতিনিধি, যোগ্য নেতা বলে শ্রদ্ধা করি, সন্মান করি; মিছিল করি, উল্লাস করি; আপনার আগমনে কালকিনি তে নব জোয়ার এসেছে। প্লিজ, ভারতে প্রশিক্ষণ দেয়া অনেক মুক্তিযোদ্ধার নাম তালিকায় নেই এবং এ মহান দায়িত্ব আপনার উপর। আপনি অন্যায় অবিচার করলে আমরা আর কার নিকট যাবো? সবাইতো আর নেত্রীর সাথে দেখা করতে পারেন না। আজ যারা কালকিনিতে কমান্ডার বলে খ্যাত, এদের অনেকেই মুক্তিযোদ্ধা নয়; এমন কি আমার ইউনিয়ন বাঁশগাড়ীর সকল মুক্তিযোদ্ধাদের আমার চেয়ে তো অন্য কেউ বেশী চিনে না, জানে না; এখানে আসল মুক্তিযোদ্ধারা এমন কি ব্যারাকপুর মুক্তিযোদ্ধা প্রশিক্ষণ কালীন কমান্ডার হানিফ মাহমুদ (নিউজিল্যান্ড প্রবাসী) এর নামও তালিকায় নেই, যিনি চাঁদপাড়া রিসিপশন ক্যাম্পের সহকারী ইন-চার্জ ছিলেন। হায়দার বেপারী, যিনি স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এবং ৭১ সালে চাঁদপাড়া ক্যাম্পের ইন-চার্জ মাদারীপুর-কালকিনি-৩ আসনের প্রথম এম পি (এম সি এ) বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম এডঃ মতিউর রহমান (মতিভাই)র সাথে তাঁর বাসায় থাকতেন এবং ক্যাম্প অফিসের কাজ করতেন। তার দরখাস্তও আপনি গ্রহণ করেননি; বড় কষ্ট পেয়েছি; যারা মুক্তিযোদ্ধা নয়; তাদের সাথে আপনি হেসে কথা বললেন-গল্প করলেন, তাদের কাগজপত্র স্বাক্ষর করলেন আর যে আসল মুক্তিযোদ্ধা তাঁকে ফিরিয়ে দিলেন; সে কাঁদতে কাঁদতে ফিরে গেল; এ দুঃখজনক ঘটনা আপনার দ্বারা সংঘটিত হওয়ায় অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে ছিলাম এবং লাল বইতে আমার নাম না থাকা সত্বেও আমি কথা বলেছিলাম।
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh80Juq-kKZ_rXdxLZQX1tM-dHyUgjpYJQRIReZIAXRdOQwHs-mOj_6dqdK0H3FZMrzcMfWICIfYt2x2IO2H25iGwrhEXiHJk1OW7FuAIq1hVQV0Ckr8HgwN7LaSEtf6FRi6EB4LCRTYyI/s640/20045661_1606355562732085_2598725157695215126_o.jpg)
ওদের সমর্থন করেছিলাম, আপনার মনে আছে হয়তো। মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিশেষ করে যারা বঙ্গবন্ধুর অবদানকে অস্বীকার করেছে এবং এখনো করছে, তাঁরা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সকল সুযোগ সুবিধা পাবে, তাও আবার আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতাকালীন এবং আপনার মত মাদারীপুর কাঁপানো আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রীর সামান্য ভুলের কারনে? এটা ঠিক কিনা? আপনি নিজেই অনুধাবন করুন। আমরা আপনার সুবিবেচনা ও সুবিচারের প্রত্যাশায় অধীর আগ্রহে বসে থাকলাম তাছাড়া আঞ্চলিক সমস্যাগুলো নেত্রী সরাসরি না জেনে কিভাবে সমাধান করবেন? এ মহৎ কাজটি আপনাকেই করতে হবে। ভারতে প্রশিক্ষণ নেয়া আমার সহযোদ্ধা অনেকেই আর বেঁচে নেই; তাদের পরিবার বঞ্চিত হল মহান স্বাধীনতার ফসল থেকে। এ কাজ যারা করেছে, তারা তাদের ইচ্ছে মত অর্থ নিয়ে ৭১ এর স্বাধীনতা বিরোধীদের নাম মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় লিখে দিয়েছে। যে সমস্যা মাদারীপুরের সকল মুক্তিযোদ্ধাদের কলুষিত করছে, সে সমস্যা কেন্দ্রীয়ভাবে সমাধান হবার নয়; যার যার জেলা উপজেলায়ই সমাধানযোগ্য। আমার মুক্তিযোদ্ধা হবার সখ মিটে গেছে, কিন্তু ঐ হতভাগাদের কি হবে? যারা ৭১ এ মুক্তিযুদ্ধের নাম মূখে আনেনি, তারা ভাতা পাচ্ছে, তাদের সংসার ভালো চলছে, আর যারা জীবনবাজি রেখে যুদ্ধে গেল, যুদ্ধ করলো তাদের নাম নেই; এ কলঙ্ক এ ব্যর্থতা যে কোনভাবেই হোক আওয়ামী লীগ সরকারের এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার উপরই বর্তায়। কারন, আওয়ামী লীগ মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব প্রদান করেছিল। আপনি আমাদের শেষ ভরসা-আপনার রিপোর্ট অনুযায়ী চূড়ান্ত তালিকা হবে। মহান আল্লাহ্ যেনো আপনার দ্বারা কোন ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণের কলঙ্ক দিয়ে আপনার বাবা বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠজন সহযোগি, আওয়ামী লীগের সংগঠক ও দুর্দিনের কান্ডারী মরহুম এডঃ আচমত আলী খানের সারা জীবনের কষ্ট, সাধনা, সাফল্য কলঙ্কিত না করে সে দোয়া করি; আপনি আরো উপরে যান; আল্লাহ্ আপনাকে সঠিক মুক্তিযোদ্ধাদের চিহ্নিতকরনে সহযোগিতা করুক। আমিন !
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiDBXPS4yQwrVDW79IOsNejh1dIGuohXJvfaBtfFcJgYVEmabTT0v3MEFgAH3VBiTs3wEI_u0r5ddpCbFeLSEsTr8cim9C0J16s3a1FmY7BLqWfyc0uXHSBpIpjau7q0Au7IK15ToDaSQ4/s320/_2.jpg)
আমার নিজস্ব অভিমত:
একটা জাতি কতটুকু দুর্ভাগা হলে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সকল আবেদন, নিবেদন ব্যর্থ হওয়ার পর ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে নিজ উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটির সভাপতি বরাবরে আবেদন করতে হয়, এটা ভাবতে গেলে গা শিউরে ওঠে। ইচ্ছে হয়, রাষ্ট্রের কর্ণধারদের টুঁটি চেপে ধরে রাস্তায় টেনে এনে মিশিয়ে দেই ধুলোর সাথে; কিন্তু, বাস্তবে তা সম্ভব নয়। নষ্ট পূঁজিবাদী একটি রাষ্ট্রে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বললে এখন টিটকারি, লাঞ্চনা-গঞ্জনা সইতে হয়, যদিও শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছে, কিছু রায়ও হয়েছে, কিছু রায় কার্যকরও হয়েছে। কিন্তু, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা আদৌ কোথাও সন্মানিত হচ্ছে কি, জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় একটি মরণোত্তর রাষ্ট্রিয় গার্ড অব অনার পাওয়া ছাড়া, আমার জানা নেই। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি নয়, অথবা কোন আমলা নয় এমন সাধারন মুক্তিযোদ্ধাকে দিয়ে আজ পর্যন্ত্য রাষ্ট্রের কোন একটি স্থাপনার ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন বা উদ্বোধন করানোর মাধ্যমে সন্মান জানানো হয়েছে কি? ব্যক্তি বা সমাজের কিছু লোকের উদ্যোগে কোন মুক্তিযোদ্ধার নামে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা কোন লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠিত হলে সেই প্রতিষ্ঠানটিকে আলাদাভাবে একটু বেশি সুবিধা দিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সন্মানিত করার কোন অনুরোধ কোন মহল থেকে করা হলেও মি. বিধি-বিধানের অদৃশ্য সূতোর টানে প্রতিষ্ঠানটিই অস্তিত্বের সঙ্কটে পড়ে এ নজির বহু আছে, ফরিদপুর অঞ্চলে এমন একটি প্রতিষ্ঠানের কথা এ মূহুর্তে মনে পড়ছে, “মৃগী শহীদ দিয়ানত কলেজ”; যেটির অস্তিত্ব সঙ্কটকালে সে সময়কার কলেজ শিক্ষক সমিতির নেতা হিসেবে কিছুটা সহায়তা করেছিলাম, ছাত্র জীবনের বন্ধু তৎকালীন কলেজ অধ্যক্ষের কাছে সব জেনে।
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhCKyCYC2oJWk2zQeJo5PonTzTS_A_uWTtHymAES89hoDvt7V9dgyhqZpVQeLd4bMEW1Lv1rjc7Eodu0q56nOdRna1OX1ZTQ3awaEgwZUoygVElNnzo6CvgV7odklwsg3nZY6DhluBEJbA/s320/0001053XqVb.jpg)
মাদারীপুর জেলার (সাবেক ফরিদপুর জেলার মাদারীপুর মহকুমার) কালকিনি উপজেলার (সাবেক কালকিনি থানার) বীর মুক্তিযোদ্ধা মালদ্বীপ প্রবাসী “মোক্তেল হোসেন মুক্তি”র গত কয়েকদিনের কিছু ফেসবুক স্ট্যাটাস ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে রাষ্ট্র কত হীনভাবে অপমান করছে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে। ওনার কিছু স্ট্যাটাস এতোই হৃদয়বিদারক যে, তা জনসমক্ষে প্রকাশযোগ্য নয়, তরুণরা ক্ষিপ্ত হয়ে এসবের কুশীলব নষ্টদের মান-সন্মানে আঘাত করে বসতে পারে। রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রের কর্ণধারদের আগে অনেক কিছুই জনাতাম; অধিকাংশই সমাধান না হলেও, কিছু হতো। কিন্তু যতই দিন যাচ্ছে, ততই হতাশ হয়ে পড়ছি। এক কুখ্যাত রাজাকার পুত্রের অনুরোধে আমার খুব কাছে থেকে দেখা এক বীর মুক্তিযোদ্ধার সনদ না দিতে গোটা রাষ্ট্রযন্ত্র উন্মুখ হয়ে লড়েছে, দেখেছি চোখে ঠুলি পরে। যদিও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়টি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী হিসেবে যারা এ পর্যন্ত্য দায়িত্ব পালন করেছেন, তারা সকলেই মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন বলেই ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়। কিন্তু, এসব মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের আমলেই অনেক কুখ্যাত রাজাকার ও রাজাকার পুত্ররা “মুক্তিযোদ্ধা সনদ” পেয়ে গেছেন অনেক চুপিসারে বিদ্যুৎ গতিতে, রাষ্ট্রযন্ত্রের কর্ণধারেরা নিজেরাই এদের ফাইল বগলদাবা করে নিয়ে ছুটেছেন এক দপ্তর থেকে আরেক দপ্তরে, এক টেবিল থেকে আরেক টেবিলে। কিন্তু, “মুক্তিযোদ্ধা সনদ” পেতে বয়োবৃদ্ধ, রোগে শোকে কাতর, অনাহারে-অর্ধাহারে জর্জরিত প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাকে তার সনদ পেতে ঘুরতে ঘুরতে স্যান্ডেলের তলা ক্ষয় হয়েছে, ঘাটে ঘাটে (দপ্তরে, দপ্তরে, টেবিলে টেবিলে) তাকে ষ্টেটম্যান্ট দিতে হয়েছে যেমনটি দিতে হয় একজন দাগী আসামীর “জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল” এর সন্মূখীন হয়ে অপরাধ স্বীকার না করার চেষ্টাকালে। আর এসব মুক্তিযোদ্ধাকে এসব দপ্তরে কখনো সন্মানের সাথে একটু বসতে বলা হয়েছে, এমন কখনো শুনিনি। গত কয়েক মাস যাবৎ শুরু হয়েছে আরেক তেলেসমাতি কান্ড-কারখানা “মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি”র সন্মূখে আবেদনটি পৌছাতে নাকি টাকা দিতে হয়, হরহামেশাই এ ধরনের সংবাদ প্রকাশ হচ্ছে পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলিতে। সবচেয়ে ভয়ঙ্কর যে তথ্যটি আসছে পত্রিকায় কিছু উপজেলায় নাকি “মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি”তে অর্ন্তভূক্ত হয়ে আছেন কুখ্যাত রাজাকারও। উল্লেখিত ফেসবুক স্ট্যাটাসটি ছাড়াও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোক্তেল হোসেন মুক্তির আরো কিছু ফেসবুক স্ট্যাটাসে কিছু হৃদয় বিদারক হাহাকার ও ক্ষোভ ঝরে পড়েছে, যেগুলির সারমর্ম হলো, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে ষড়যন্ত্রের সাথে ন্যাক্কারজনকভাবে জড়িত পবিত্র সংসদ ভবনে চিৎকার করে খুনী কনফেডারেশন জিয়াকে “বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক” দাবী করা সুবিদ আলী ভূইয়ার ইন্ধনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর উপস্থিতিতে মন্ত্রীর কক্ষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব লাঞ্চিত করেছেন। এটা জাতির জন্য উদ্বেগজনক, খোন্দকার মোশতাকের উকিল জামাই সুবিদ আলী যখন গোটা জাতির ধিক্কার ও ঘৃণায় লুকিয়ে থাকে, তখন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রীর কক্ষে সে ঢোকে কি করে? নাকি মাননীয় মন্ত্রী ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্টের কথা শোনেননি? তিনি কি শোনেননি জঙ্গিদের মদদদাতাদের কথা যারা আজ বিশ্বনেত্রী শেখ হাসিনা সহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের ধ্বংস করে দেয়ার জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছে? মাননীয় মন্ত্রী কি শোনেননি কে, এম ওবায়দুর রহমান, তাহের উদ্দিন ঠাকুর, শাহ মোয়াজ্জেমদের নাম, বা জানেন না এদের পূর্ব পরিচয়? তিনি তো দুধের শিশু নন। মাননীয় মন্ত্রী নিজে শুধু একজন মুক্তিযোদ্ধা শুধু নন, তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন প্রকাশ্য ও গোপন প্রস্তুতির সংগঠকও। পাক হানাদারদের বিরুদ্ধে গোটা জাতি যুদ্ধ শুরু করার বেশ আগেই যে তিনি একটি অতি সাহসী বীরত্বসূচক কাজ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে তিনি কি সেটা ভূলে গেছেন?
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgQNUNOcLy9S98DeAcO6a8k0YuVt_exUFq_OZWBIUQs536AuEGtNKGbcIwTdvHvQUQ_n3jJiYUpkK3DroKf8vHVrVShBby-IfItsyt3NIhsDW5GvIqjD7zxgeYlKIvCTPCGeDIIDtnOFJk/s320/akm.jpg)
মাননীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাোম্মেল হক এর দৈনিক ভোরের কাগজ ১৯ মার্চ, ২০১৬ তে প্রকাশিত ‘মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ ১৯শে মার্চ ১৯৭১” শিরোনামের একটা লেখায় উল্লেখ রয়েছে, ৭ মার্চে উজ্জীবিত হয়ে আমরা সম্ভবত ১১ মার্চ গাজীপুর সমরাস্ত্র কারখানা (অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি) আক্রমণ করি। গেটে বাধা দিলে আমি হাজার হাজার মানুষের সামনে টেবিলে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা করেছি মাইকে। পাকিস্তানিদের বুঝতে পারার জন্য ইংরেজিতে বলি ‘I do hereby dismiss Brigadier Karimullah from the directorship of Pakistan Ordnance Factory and do hereby appoint Administrative officer Mr Abudul Qader (বাঙ্গালী) as the director of the ordnance Factory’ এ গর্জনে সত্যি কাজ হয়েছিল। পাকিস্তানি ব্রিগেডিয়ার বক্তৃতা চলার সময়ই পেছনের গেইট দিয়ে সালনা হয়ে পালিয়ে ঢাকা চলে আসেন। পাকিস্তানি ব্রিগেডিয়ার আর পরবর্তী সময় ১৫ এপ্রিলের আগে গাজীপুরে যায়নি। পাকিস্তান সমরাস্ত্র কারখানা ২৭ মার্চ পর্যন্ত আমাদের দখলেই ছিল। মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়কে বিনীতভাবে জিগ্যেস করতে চাই, এমন সাহসী ভূমিকা কি ১১ই মার্চ ১৯৭১ এ কি আপনার একাই ছিলো, নাকি মোক্তেল হোসেন মুক্তিদের মতো সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরই ছিলো? কিভাবে ২০১৬ সালে পাকিস্তানের এজেন্ট খুনী জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক দাবীকারি সুবিদ আলী আপনার উপস্থিতিতে আপনার কক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোক্তেল হোসেন মুক্তিকে অপমান করার ঔদ্ধত্য দেখায়? আর সচিব কি প্রজাতন্ত্রের মালিক না কর্মচারি না সেবক? আপনি সচিবের অধীন, নাকি সচিব আপনার অধীন? এসব প্রশ্নগুলি নিজের বিবেককে করুন মাননীয় মন্ত্রী। দেশবাসীর বিবেক জাগ্রত হোক: আমি দেশবাসী, বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী তরুণদের বিবেকের উদ্দেশ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোক্তেল হোসেন মুক্তির দুটি ফেসবুক স্ট্যাটাস উল্লেখ করতে চাই। সাথে এও বলতে চাই, যদি উনি মুক্তিযোদ্ধা নাই হবেন, তবে প্রকাশ্যে জনসমক্ষে এ দাবীটি তুলতে পারতেন না। যারা ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা তারা এ সনদ পায় গোপনে টাকার থলি দিয়ে কিনে আর এ সনদ ব্যবহার করে টাকার বস্তা কামায়। তাই, আমি বিশ্বাস করতে বাধ্য যে, উনি আসলেই একজন মুক্তিযোদ্ধা। তার হাহাকার আমার কাছে আজ পঙ্গু হয়ে উপযুক্ত চিকিৎসার অভাবে লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর পৌরসভায় ভাড়া বাসায় যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকা ১৯৭২ সালে সনদ পেয়েও ১৯৭৪ সালে ছিড়ে ফেলার পর বারবার চেষ্টা করেও নতুন সনদ না পাওয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাসেম এর হাহাকারের মতোই মনে হয়েছে। মোক্তেল হোসেন মুক্তির ১৭.৫.২০১৭ তারিখ বিকাল ২.৩৮ এর ফেসবুক স্ট্যাটাস: “আমাকে আমার মাওলা ছাড়া আর আমার মা বাবা ছাড়া কেউ বোঝেনি, কেউ না। আমার চেয়ে দলকে বঙ্গবন্ধুকে মুক্তিযুদ্ধ কে কারা কিভাবে বেশী ভালোবাসতে পারে আমার জানা নেই। আমার অস্তিত্ব না থাকলে আমি কারো অস্তিত্ব নিয়ে ভাববো কেন? এখানে ক্ষমার প্রশ্ন নয়; এখানে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করার প্রশ্ন। যে মেজর সুবিদ আলী ভুঁইয়া বলতে পারে যে জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক সে সুবিদ আলীর কথায় মন্ত্রী আমাকে অপমান করতে পারে না। আমার গান হাতে থাকলে ঐ খানেই কিসসা খতম করে দিতাম সুবিদ আলীর। আমি আর মুক্তিযোদ্ধা হতে চাই না। এবার হবো সন্ত্রাসী। মরার আগে যে ক’দিন বাচি, আওয়ামী লীগের সবাই যেনো আমাকে জুতা মারে, থু থু নিক্ষেপ করে এবং শেষ শব্দটি উচ্চারন যে
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEioaUCL-1dppuHQWbK2NjpJgTvFatednnsVuEhKhcE3aaS8tVsN42G8uiFRkt1arC4WYhijmkdUkcxg6fIYj-TR0OwRK7DNPmd3wGqeNohEqsAqjZq7jd3OuuPe271_9c1gM2BmpQgtXUo/s320/moja1.jpg)
"Moktel Hossain Mukthi was a great rajakar in 1971.” মোক্তেল হোসেন মুক্তির ১৭.৫.২০১৭ তারিখ বিকাল ২.০৫ এর ফেসবুক স্ট্যাটাস: সবাই মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু নিয়ে গবেষনা করে। কেউ কেউ নাম ভাঙ্গিয়ে খায়, ব্যবসা করে; বড় বড় লম্বা বক্তৃতায় মাইক ফাটিয়ে দেয়; অথচ মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে সারা দেশে অবৈধ ব্যবসা চলছে; মুক্তিযোদ্ধাদের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সচিব মারধর করছে, মন্ত্রী অপমান করছে, তার কোন প্রতিবাদ হয় না; কার চরিত্র ভালো? ফেসবুকের চরিত্র আরও জঘন্য; আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগি অনলাইনের সে সোনার ছেলেরা কোথায়? আজ গা' জ্বলে না? আপনার বাবা যদি মুক্তিযোদ্ধা হত, আর মন্ত্রী অপমান করতো আপনি কি করতেন? আমার কোন ছেলে নেই, তাই কেউ আমার পাশে এসে দাড়ালেন না? ভালো থাকুন সবাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রী পরিষদ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাথে সিংগাপোর মালদ্বীপ থাইল্যান্ড সহ ইউরোপের দেশগুলোর সাথে কি সম্পর্ক রয়েছে? আ ক ম মোজাম্মেল হক কোন সূত্রে, কোন বিষয়ে চুক্তিপত্র বা সেমিনারে অংশগ্রহণের জন্য এ সকল দেশ তার লুটেরা ঘুষখোর বাহিনী নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে আর রাতে ৫ তারা হোটেলে সুন্দরী রমনীদের দিয়ে হাত পা টিপাচ্ছে? ৭০ বছর বয়সের একজন বয়োবৃদ্ধ ব্যক্তির লজ্জা শরম বা মৃত্যুর ভয় নেই কেন? আওয়ামী লীগ এ ধরনের নাস্তিক নিমক হারামী শয়তান জালিমদের কোন দিন প্রশ্রয় দেয়নি । আজ কেন দিচ্ছে? কি জননেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশে নাই, তাই কি মোজাম্মেলদের ডিস্কো নাচের সময় হয়? নেত্রী যেদিন হজ্জব্রত পালনের জন্য সৌদি গেলেন ঠিক সেদিনই মোজাম্মেল এসেছে জামুকা ও মন্ত্রণালয়ের লুইচ্চা ঘুষখোর বাহিনী নিয়ে মালদ্বীপে ফিলিপিনো ললনা দিয়ে শরীর মাসাজ করাতে। অথচ মালদ্বীপের সাথে মুক্তিযুদ্ধের কোন প্রকার সংশ্লিষ্ঠতা নেই বা ছিল না। আজ হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতিরজনকের শেষ চিনহ বঙ্গ নেত্রী শেখ হাসিনা অসুস্থ্য; ঠিক সে সময়ে লুইচ্চা মোজাম্মেল ইউরোপ ঘুরতে যাচ্ছে। এ অর্থ কোথা থেকে আসছে? কার টাকায় মোজাম্মেলের লুটেরা বাহিনী ইউরোপ সফর করছে? আমরা হিসাব চাই; বিচার চাই। কারন মহান মুক্তিযুদ্ধে আমারো অবদান রয়েছে। অবহেলা অবিচার অনাচার মিথ্যাচার ভ্রষ্টাচার যখন তার নিজস্ব সীমা লঙ্ঘন করে তখনি সমাজ দেশ জাতির কেউ না কেউ দেশের কোন একপ্রান্ত থেকে প্রতিবাদের ঝড় তুলে ইতিহাস রচনা। বেচে থাকে কি মরে যায়, সেটি বড় প্রশ্ন নয়; সত্য বলতে পারাটাই বড় যা'জাতিকে বদলে দিতে সাহায্য করে। জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ র রাষ্ট্র ভাষা উর্দু ঘোষনার প্রতিবাদ একাই করেছিলেন। ছয় কোটি মানুষের মধ্যে তিনি হয়ে উঠেছিলেন মধ্যমনি। ৫২ র ভাষা আন্দোলনের নায়ক বঙ্গবন্ধুই আমাদের শিখিয়ে গিয়েছেন-প্রতিবাদ কর-অন্যায় অবিচার ভ্রষ্টাচারের বিরুদ্ধে। কি পেলেন কি না পেলেন এ কথা ভাববার অবকাশ ছিল না বঙ্গবন্ধুর। চির শোষিত লাঞ্ছিত বঞ্চিত অবহেলিত বাঙ্গালী জাতির অধিকার স্বাধীকার আদায়ে একটা জাতিকে জাগিয়ে তুলেছিলেন ন্যায় সত্য হিস্যা আদায়ের সংগ্রামে । আওয়ামী লীগের একজন মন্ত্রীর অন্যায় অবিচার স্বজনপ্রীতি দুরাচারের বিরুদ্ধে আমার এ আন্দোলন জাতিরজনকের থেকে শিক্ষা নেয়া নীতি আদর্শের বহিঃপ্রকাশ। মুক্তিযোদ্ধারা আ ক ম মোজাম্মেল হকের কথা যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেনি; করেছিলেন ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষনের তেজদীপ্ত প্রতিক্রিয়া হিসেবে ।
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgBhQMo8TDHR0IfVvRuL2FM6oJzMNpq8iPaNm__IROPBWAO77dOcnJVI5gnyFwlAYPLg8xSLgvsQgR4QMe_H3dkl8LNUcoRU7i1s0wLi1xAfJ22MMLosANOB6mBrSSqHpO7HcGxOOaUOPc/s320/mohitvai.jpg)
কি পেলাম কি পেলাম না? তা খতিয়ে দেখার সময় নেই। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার সোনার ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধারা কি পেয়েছে, তা' আজ খতিয়ে দেখার সময় এসেছে। কেউ ইচ্ছে করলেই মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু এবং তার আদর্শ নিয়ে ব্যবসা করতে পারে না। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার এত সুনাম এত উন্নয়ন এত ত্যাগ গুটি কয়েক দুর্নীতি পরায়ন মন্ত্রী আমলার কারনে ধূলিসাৎ হতে দেয়া উচিত নয়; সবাই ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদের ঝড় তুলুন। শেখ হাসিনাকে রক্ষা করুন দুর্নীতির অহেতুক অনাহুত কলংকের হাত থেকে। প্রতিষ্ঠা করুন ডিজিটাল সুখি সমৃদ্ধশালী সোনার বাংলাদেশ। মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নাম নেই মুক্তিযুদ্ধা Moktel H. Mukthi মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলা বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের দক্ষিন আকাল বরিশ গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মোক্তেল হোসেন মুক্তি। যাকে এলাকার সবাই এক নামেই চেনে। আছে তার আরেকটি পরিচয়,তিনি একজন কন্ঠ শিল্পী। স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে যিনি গেয়েছেন অসংখ্য গান। মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ গোলাম আম্বিয়ার হাত ধরেই গানের হাতেখড়ি শিখেন মুক্তি।১৯৯০ সালে জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী বারী সিদ্দিকীর মিউজিকে বের হয় তার নিজের লেখা গানের ৩ টা এলবাম।তার মধ্যে বঙ্গবন্ধু স্মরণে মুক্তির গান নামে একটি এলবাম ও কাঁদো বাঙ্গালী কাঁদো নামের আরেকটি এলবাম,যা ব্যাপক শ্রোতাপ্রীয়তা পেয়েছিল।যেই গান শুনে শেখ হাসিনা কেঁদেছিলেন। অথচ সেই মুক্তিযোদ্ধার নাম নেই মুক্তিযোদ্ধা তালিকায়। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মুক্তিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে ভুমি মন্ত্রনালয়ে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে চাকুরী প্রদান করেন এবং নগদ ১ হাজার টাকা ও ৩ বান টিন প্রদান করেন। মুক্তি মালদ্বীপ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, মালদ্বীপ কম্যুনিটি এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক, একজন শিক্ষক,ও কন্ঠ শিল্পী।যিনি ভারতে ট্রেনিং এর সময় অবশরে সহযোদ্ধাদের গান শুনিয়ে সাহস যোগাতেন।১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসা পর বঙ্গবন্ধুর দেয়া সেই চাকুরী হারান হতভাগা মুক্তিযোদ্ধা মোক্তেল হোসেন মুক্তি। দেশে নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তাকে।বঙ্গবন্ধুর দেয়া চাকুরীটি কাল হয়ে দাঁড়ায় তার জীবনে। একজন মুক্তিযোদ্ধা হওয়ায় পদে পদে লাঞ্চনার শিকার হতে হয় তাকে।এসব সহ্য করতে না পেরে ১৯৯১ শেখ হাসিনার খালু মরহুম এস এ জালালের মাধ্যমে পাড়ি দেন জাপানে। যিনি ১৯৭১ সালে জাপানের বাংলা রেডিওর সংবাদ পাঠক এবং ক্যানাডার ইকোনোমিক্স মিনিষ্টার ছিলেন । ১৯৯৬ সালে আবার দেশে আসেন,১৯৯৭ সালে ইউনিক গ্রুপের চেয়ারম্যান ঢাকা ওয়েষ্টিন হোটেলের মালিক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ নূর আলীর পিএস এর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। কিন্তু আবারও কপালে নামে দুর্গতি,২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর হাওয়া ভবনের চোখ পড়ে ইউনিক গ্রুপের উপর। একসময় হাওয়া ভবন গ্রাস করে নেয় ইউনিক গ্রুপ,আবারো সেখানে প্রতিবাদ করে বসেন মুক্তি,তখনই নেমে আসে তার উপর অমানবিক নির্যাতন।অবশেষে বাধ্য হয়ে ২০০২ সালে দেশ ছেড়ে মালদ্বীপ পাড়ি জমান। স্বাধীনতার ৪৬ বছর শেষে নতুন করে যখন মুক্তিযোদ্ধা বাছাই কাজ শুরু হল,তখন অজানা কারণে বাদ পড়ে গেলেন মুক্তি। যখন শুনলেন মুক্তিযোদ্ধা বাছাই কমিটি তালিকায় তার নাম উঠায়নি তখন মাতায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়ল। দেশের জন্য যারা জীবন দিতে প্রস্তুত সেই মুক্তিযোদ্ধার নাম নেই তালিকায়।বিষয়টা অনেকেই মেনে নিতে পারলেন না।৭১ এ যাদের সাথে ভারতে ট্রেনিং নিয়েছেন সেই সহযোদ্ধারাও হতবাক হয়েছিলেন এ ঘটনায়,মুক্তি কখনো ভাবেননি যুদ্ধের এত বছর পর এসে তাকে প্রমান করতে হবে মুক্তিযোদ্ধা বলে। মুক্তি বলেন,কখনো ভাবিনি এরকম একটা ঘটনার সম্মুখীন হব,আমরা ত যুদ্ধে গিয়েছিলাম বঙ্গবন্ধুর ডাকে ৭ কোটি মানুষের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে,নিজের নাম কামাতে নয়।কখনো নিজের জীবনের চিন্তা করিনি।কিন্তু আজ এরকম একটা বাস্তবতার মোখমুখি হব তা কখনো কল্পনা করিনি। বঙ্গবন্ধুর প্রতি অসীম ভালোবাসা থাকায় প্রতিনিয়ত বঙ্গবন্ধুর কথা ভেবে চোখের জল ফেলেছেন মুক্তি, “কাঁদো বাঙ্গালী কাঁদো” এ বাক্য আজ সবার মুখে মুখে,কিন্তু এই জনপ্রিয় বাক্যটির জনক হলেন মুক্তিযোদ্ধা মোক্তেল হোসেন মুক্তি। তিনি তার গানে প্রথম এ বাক্যটি ব্যবহার করেন, যা আজও মানুষের মুখে মুখে শোনা যায়। তৎকালীন সময়ে দৈনিক বাংলার বানীতে সাংবাদিক শেখ মারুফ পত্রিকায়ও প্রচার করেন ।আমি মন্ত্রীর নিকট আবেদন করেছিলাম। কোটি টাকার সম্পদ দাবী করিনি; আবেদন করার অধিকার আমার আছে।
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi2Xx6a6lh5H0oLk7BMTo97E2veAPfTbDLKuh8gSOlgBrQvDlyECrYufeSBhF7qfUDgMOeagsoilW-GcsmAoRFWLHq2amEmyHLnsbvSrplsvy-lbzMREYht8SR0cMaGJcMSybJt29Svc0nI/s320/application.jpg)
আমি বিচার পাইনি; মন্ত্রী অপমান করেছে আমি আওয়ামী লীগ সরকার প্রধানের নিকট বিচার চেয়েছি। বিচার পাইনি। সূতরাং আমার দাবীর জন্য যা'কিছু করার তাই করবো। এখানে পাগলামি ছাগলামির প্রশ্ন কেন? জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা ও ১১ দফা দাবী যদি পাগলামি না হয়ে থাকে, একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী কর্তৃক লাঞ্ছিত হবার কারনে সে লাঞ্ছিত মুক্তিযোদ্ধা ন্যায় সংগত বিচার প্রার্থনা করছে। এতে পাগলামির কি আছে? আমি বিচার পাইনি; তাই আমার পথে আমাকে এগোতে হবে। আমি আর মুক্তিযোদ্ধা হতে চাইনা। বাচার স্বপ্নও ঐ একই সাথে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের সমস্যা; আওয়ামী লীগকেই সমাধান করতে হবে; মহান মুক্তিযুদ্ধে যদি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের দাবীদার হয়, আমি মুক্তিযোদ্ধা এবং দাবীদার। সেখানে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী আমাকে অপমান লাঞ্ছিত করে তার কক্ষ থেকে সুবিদ আলী ভুইয়ার কথায় বেড় করে দিতে পারে না; মন্ত্রী যদি অপমান করার অপরাধে শাস্তি না পান, তাহলে দেশে আইন নেই, শাসন ব্যবস্থাও নেই বলেই ধরে নিতে হবে। আমার অস্তিত্বের প্রশ্ন এখানে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। আমি আমার নিজের অস্তিত্বের দিকটাই প্রথম দেখবো। দেখবো আমার সংসার সন্তান স্ত্রী কন্যা আত্মীয় পরিজন; আমি আওয়ামী লীগের স্বার্থ নৌকার স্বার্থ দেখার আমার অবকাশ কোথায়? দেশ স্বাধীন হয়ে থাকলে আমি মুক্তিযোদ্ধা; মন্ত্রী কর্তৃক লাঞ্ছিত হবার বিচার চাই; অতি সিম্পল; যারা এটাকে গভীরভাবে জড়িয়ে কাদা ছোঁড়াছুড়ি করতে চান, তাঁদের জন্য বলিঃ "মুক্তিরা একবার জন্মায়, একবারই মরে" মুক্তিরা নীতির সাথে আপোষ করতে জানে না-এ মুক্তিদের জাতিরজনক হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী বাংলার মহা নায়ক কিংবদন্তি বিশ্বনেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিখিয়ে গিয়েছেন। বিশ্ববাসী দেখ, দেখ সকল মুজিবসেনা, সকল বি এন পি জামাত জাতীয় পার্টি জাসদ নেতা কর্মী ভাই বোনেরা, একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার আবেদন আ ক ম মোজাম্মেল হক গ্রহণই করেনি। লিখিত দিয়ে ফেরত দিয়েছে। কোন আইনে সে ফেরত দিয়েছে-জানতে চাই? সংবিধানে এমন কোন আইন রয়েছে যে একজন মন্ত্রীকে আবেদন করলে তদন্ত ছাড়াই/আইন/রীতি/নীতি/অধ্যাদেশ ব্যতিরেকেই আবেদন সরাসরি নাকচ করা যায়? যেহেতু সে আমার কালকিনি মাদারীপুরের নয়; সে আমার সম্পর্কে কিছুই জানেনা এবং সে কারনেই আমি তদন্ত চেয়ে আবেদন করেছি। মেজর জেনারেল সুবিদালীর (সুবিধাবাদী খালেদা জিয়ার এজেন্ট) কথায় মন্ত্রী আমাকে অপমান করে বেড় করে দেয়ার কথা বলতে পারে না; সংবিধান এ কথা বলে না। আমি জামাত শিবির বি এন পি আওয়ামী লীগ বুঝিনা; আমি জন্মগতভাবে বাঙ্গালী । বিচার চাই; মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট পত্রিকার মাধ্যমে আবেদন করাতে bangloadeshpress.com অনলাইন পত্রিকাকে হুমকি দিয়ে আ ক ম মোজাম্মেল হক আমার সংবাদ বন্ধ করে দিয়েছে। ঐ ছেলেরা এখন হুমকির মূখে আছে।
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhCt0qlPdBqYyRpvLpY-cRIu7-vhjgjqXo5rAs0Jb4YpQy-DGXNU0dGFMfRlRiFOcFac3oj0MCvh2kpKeWsztequzHK9nQlUt5CF9PptN5wd2svto46_60xd_utlETSCQppqMF-qyeRzoU/s320/bbr4.jpg)
is it called democracy? what is called democracy. its my question to all of the highly qualified innocence Bangladeshi citizen. i want reply from central of bangladesh awami league. আওয়ামী লীগের জন্য যদি ৬০ হাজার পোষ্টার করতে পারি ১৭ বছরে, মন্ত্রী মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে কত হাজার করতে পারবো? মৃত্যুর আগ পর্যন্ত? আমি অনলাইনের সর্ব দলীয় বাঙ্গালী বাংলাদেশীদের নিকট বিচার চাইঃ আমি ভারতে প্রশিক্ষন প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা। আমার নাম কেন তালিকায় নাই? কিসের স্বাধীনতা? কিসের মুক্তিযুদ্ধ যদি মুক্তিযোদ্ধাদের আওয়ামী লীগ মন্ত্রী অপমান অপদস্ত করে? বিচার চাই। এখনো আওয়ামী বিরোধী শ্লোগান শুরু করি নাই। ঘরের কথা পরের কানে দেই নাই। বিচার চাই। ***************************************************************************************** মন্ত্রী মহোদয় গদি সামলান! হিন্দি সিনেমার ষ্টাইলে আপনাকে শিক্ষা দেয়া হবে। আপনি ডিবি পুলিশের ভয় দেখান। ছেলেদের দিয়ে হুমকি দেন? আপনার মন্ত্রীত্ব! না হয় আমার মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি! একটা চাই। আপনিও মুক্তিযোদ্ধা তাই কিছুটা শ্রদ্ধা ছিল, সেটি এখন গোলাম আযমের চেয়েও ঘৃণ্য পর্যায়ে চলে গিয়েছে। আপনি আমাকে বলেন-আমি মন্ত্রী আর আপনি পাবলিক? আপনি উকিল। জীবন ভর মানুষকে ঠকিয়ে মিথ্যা মামলা চালিয়ে টাকা বানিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা হয়েছেন? আপনি উকিল হলে আমি মোক্তার! এই পাবলিকের ভোট চুরি করে মন্ত্রী হয়েছেন আর আমাকে হুমকি দেন? মূখ খুলি নাই। এখন থেকে খুলবো। জামূকায় লাল বাতি ও মুক্তিযোদ্ধাদের "লালবই" দিন তারিখ সঠিক মনে নেই। তবে ১৯৯৭ সালের সম্ভবতঃ বিজয় দিবস অথবা স্বাধীনতা দিবস অনুষ্ঠিত মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের আয়োজনে "জামূকা'র ছোট্ট মাঠে একটি অনুষ্ঠান। মুজিববাহিনী প্রধান, মহান মুক্তিযুদ্ধের সফল সংগঠক, ডামূড্যার কৃতি সন্তান সাবেক নৌ ও পরিবহন মন্ত্রী মরহুম আব্দুর রাজ্জাক (বঙ্গবন্ধুর রাজ্জাক ) ভাই প্রধান অতিথি-সাথে মঞ্চে ছিলেন অনেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, সেক্টর কমান্ডার, ক্যাপ্টেন তাজ, সুলতান রাজা ভাই এবং আমার একান্ত বন্ধু সহকর্মী জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বাদী ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আ ফ ম মোহিতুল ইসলাম। রাজ্জাক ভাইকে মঞ্চেই অনুষ্ঠান শুরু হবার আগেই আমি একখানা আবেদন দিলাম মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম লিখানো সংক্রান্ত। রাজ্জাক ভাই আবেদনটি চৌধূরী সাহেবের হাতে দিয়ে বললেন "ছেলেটি মুজিবনগরে ছিল, দেখেন। বাস! আহাদ চৌধূরীর পিছনে ঘুরতে ঘুরতে ঘুরতে ঘুরতে ঘুরতে ঘুরতে ঘুরতে আমার জাপানী জুতা ছিড়ে গেছে। কয়েকদিন পরে দেখলাম জামুকায় লালবাতি জ্বালিয়ে আহাদ চৌধূরী সাহেব বেড় করলেন মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা নামের "লাল বই" মুক্তি বার্তার নতুন সংস্করন এ লাল বই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকেই পুড়ে ছারখার করে জ্বালিয়ে লাল করে দেয়। এই লাল বই কার নির্দেশে কার অধীনে কার তত্বাবধায়নে কিভাবে প্রিন্ট করা হল? খাসের হাট (বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের দুই স্বর্ণ পুরুষ দুই ভাই ( বীর বিক্রম শহীদ এস এম নুরুল ইসলাম ও কমান্ডার এস এম সিরাজুল হক) যারা দুই ভাই ৭১ সালে রাওয়ালপিন্ডি থেকে একজন এসেছিলেন পালিয়ে আর একজন ছুটিতে থাকাকালীন মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়; তাঁদের অধীনেই আমরা বাঁশগাড়ি ইউনিয়নে সর্ব প্রথম মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষন দেয়া শুরু করি এবং মাদারীপুরে পাক বাহিনী আসা শুরু করলেই আমরা এক সাথে ভারতে পালিয়ে যাই। মাদারীপুরের নিকট টেকের হাটে বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরু ভাই শহীদ হন। লাল বইতে কি তাঁদের নাম আছে? কালকিনি উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাছাই অনুষ্ঠানে মাননীয় নৌ পরিবহন মন্ত্রী শুদু লাল বইতে যাদের নাম রয়েছে, তাঁদের বাদে অন্যান্য সকলের নামই ডেকেছেন আবার কিছু কিছু লাল বইতে নাম থাকা ব্যক্তিদের নাম ডাকা হয়নি। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা যিনি মোটেও মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না, তাঁর নাম লাল বইতে এলো কিভাবে? সে নামগুলো আপনি বা আপনারা বা সরকার চাইলে আমি দেবো এবং প্রমান করবো। আর যদি আমার এ সকল তথ্যের সঠিক সত্যতা প্রমান না করতে পারি; আত্মহত্যা করবো-জাতিকে এ প্রতিশ্রুতি দিলাম। সূতরাং চৌধূরী সাহেব, যদি সত্যিকারেই একনিষ্ঠভাবে সচেতনতার সাথে সুক্ষভাবে সৎ ও নিষ্ঠার সাথে পরীক্ষা নিরীক্ষা করেই লাল বই করে থাকেন, তাহলে লাল বইয়ে ভুয়া নাম এলো কিভাবে? এবং আসল মুক্তিযোদ্ধাদের নাম নেই কেন? যারা আমার সাথে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আবেদন করেছিল, তাঁদের কারো কারো নাম এলো, কারো নাম এলো না, এটা আসল নকল প্রমানিত হয়নি বলে নয়; টাকার বিনিময়ে; কালকিনি উপজেলায় চলেছে সনদের রমরমা বেচা কেনা। সে বেচা কেনার কারনেই আমার নাম ও আব্দুল মান্নান তালুকদার, হায়দার বেপারী, ইয়াসিন খান, মরহুম মাষ্টার শামসুদ্দিন খান মিলন ও আমাদের ভারতীয় কমান্ডার হানিফ মাহমুদের নাম। তাহলে তালিকায় কাদের নাম এলো আহাদ চৌধূরী সাহেব? আর কত জ্বালাবেন আমাদের? যারা ৭১ এ খাসের হাট বাজারের হিন্দুদের স্বর্ণ সম্পদ লুট করেছে, তাঁদের নাম এলো মুক্তিযোদ্ধার তালিকায়। যারা ৭২ ৭৩ এ ডাকাতি করেছে এবং রক্ষীবাহিনীর দৌড় খেয়ে পালিয়ে জীবন বাচিয়েছে, তাঁদের নাম এলো মুক্তিযোদ্ধার তালিকায়। যাদের মূখে ৬৯ ৭০ ও ৭১ এ আওয়ামী লীগ নৌকার নাম শোনা যায়নি, তাঁদের নাম এলো মুক্তিযোদ্ধার তালিকায়। যারা খাসের হাট বাজারে ৭১ সালে বীর কমান্ডার সিরাজ শিকদার ও নুরু শিকদারকে রাম দা ট্যাঁটা শর্কি নিয়ে দৌড়ালো তাঁদের আত্মীয় স্বজনের নাম এলো মুক্তিযোদ্ধার তালিকায়; আর ৬৯ এর গন অভ্যন্থানের অন্যতম ছাত্রনেতা নায়ক মরহুম মাষ্টার শামসুদ্দিন খান মিলনরা মুক্তিযোদ্ধারা স্বীকৃতি না নিয়েই পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেন। আজ তাঁর পরিবার তালিকায় নাম লেখানোর জন্য অসৎ অমুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারদের দ্বারে দ্বারে স্বীকৃতির জন্য কাঙ্গালের মত ভিক্ষা চায়; আপনাদের লজ্জা করে না? আপনাদের কি আল্লাহ্ তায়ালা চোখে কোন লজ্জা শরমের ছোয়া লাগায়নি? আর কত ব্যবসা করবেন এই হতভাগা দিন মজুর নিরীহ গরীব অসহায় মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সাথে? আল্লাহ্র গজব পড়বে আপনাদের উপর একদিন-সেদিন হয়তো আমি থাকবো না। দেখে যেতে পারবো না। আর কত এই মুক্তিযুদ্ধ আর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে রাজনীতি ধান্দাবাজী চলবে? আর কত বয়োবৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁর অসহায় পরিবার আপনাদের পা'চাটতে থাকবে? আর কত কাল এই তালিকা লীলা চলবে? আর কত এই তালিকা বাণিজ্য চলবে? আমাদের ক্ষমা করেন; রেহাই দিন। বন্ধ করুন এই সার্কাস! আপনাদের পকেট গরম হবার কলঙ্কিত অধ্যায়ের কারনেই লাল বই নীল বই সবুজ বইয়ের পাতায় ৭১ এর শিশুর নাম। আপনাদের দুর্নীতির ফসল আজকের এই জাতীয় সমস্যা। আপনাদের সরম লজ্জা নাই; আপনারা বেহায়া বেশরম বেগারত তাই আবারো জামূকার গদির লোভে নিজের আত্মীয় স্বজনদের বিলিয়ে দিয়েছেন প্রচার চালিয়ে আবার জামূকা দখলের জন্য। জিয়াউর রহমান ৫০ হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করেছে, আমরা জিয়ার মরণোত্তর বিচার চাই; আ ক ম মোজাম্মেল হক মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাইয়ে সীমাহীন দুর্নীতি স্বজনপ্রীতি অনিয়ম এবং প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের লাঞ্ছিত করার অপরাধেও বিচার চাই; স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ আমরা স্বাধীন করেছি; আমাদের উপর কোন প্রকার অবিচার জুলুম নির্যাতন অবজ্ঞা অবহেলা করা হলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রতিবাদ করার জন্য আহবান জানিয়েছেন। আমরা আ ক ম মোজাম্মেল হকের বিচার চাই; মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধা। *********************** ১৯৭১ সালে যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ দেশের স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেই তখন কেঊ ই সনদ, ভাতা, স্বীকৃতি, চাকুরী চিন্তা করে তা করিনি। দেশের প্রতি মমত্ববোধ আর সময়ের প্রয়োজনে জাতিরপিতার আহবানে যার যা ছিল তা নিয়ে নিজের সাধ্য অনুযায়ী শত্রুর মোকাবিলা করেছি। কেঊ সিমান্ত পাড়ি দিয়ে ট্রেনিং নিয়ে যুদ্ধ করেছি কেঊ বা দেশে থেকেই শত্রুর বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টি মুক্তিযোদ্ধাদের চলাচল গেরিলা ক্যাম্প স্থাপন পাহারা দেয়া শত্রু অধ্যুসিত এলাকায় গিয়ে অপারেশন এ সাহায্য সহ না না ভাবে সম্পৃক্ত হয়ে দেশকে শত্রুমুক্ত করেছি। স্বাধীনতার পর আবার নিজের শিক্ষা ও কর্ম জীবনে ফরে গিয়েছি। অনেকেই কোন ডকুমেন্টস সংগ্রহ ও সংরক্ষন করিনি আবাত ইতিমধ্যে অনেকে হারিয়ে গেছে ইতিহাসের অতলে। ৭১:এর ১৬ ই ডিসেম্বর বিকেলের সেই গানের মত " হয়তো বা ইতিহাসে তোমাদের নাম কোন দিন রবে না বড় বড় লোকেদের ভিড়ে " --------- এক সাগর রক্তের। বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা " সত্যি আমার দেখা অনেক মুক্তিযোদ্ধা আজ হারিয়ে গেছে, আদমজীর এক আনসার কমান্ডার মুক্তি যোদ্ধা বিনা চিকিৎসায় দীর্ঘ দিন অসুস্থ থেকে বছর দশেক আগে মরে গেলেন। আরেক মুক্তিযোদ্ধা ৭৫ এর পর রক্ষি বাহিনী থেকে বহিস্কৃত হয়ে গত ৪২ বছর মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন এখন অসুস্থ, এবার যাচাই বাচাই কমিটির তালিকায় তার নাম এসেছে তবে এতে বিভিন্ন পর্যায়ে তার খরছ হয়েছে ষাট হাজার টাকা। সে চায় মরার আগে যদি কিছু টাকা পায়। আর একজনের ভাই কয় দিন আগে ফোন করলো তার মুক্তি্যোদ্ধা ভাই যাকে ৭১ এ আমি জানতাম সে অনেক আগেই গত হয়েছে তার সন্তান আছে কিভাবে তার সনদ সংগ্রহ করা যায়? মালদ্বীপ প্রবাসী আমার অনেক দিনের পরিচিত এক মুক্তিযোদ্ধা যাকে মাননীয় মন্ত্রী ও চিনেন তিনি সময় মত আবেদন না করায় স্বীকৃতি পাবার যোগ্য নন।অথচ এটা ঠিক তিনি সময় মত মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলেন। মুক্তি যোদ্ধাদের যাচাই বাচাই হবে একটি চলমান প্রক্রীয়া। যেহেতু বর্তমান সরকার দেশের বীর সন্তান্দের মর্যাদা পূ:ণ প্রতিষ্ঠায় দৃড় প্রতিজ্ঞ এবং তাদের অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয় সুযোগ ও সম্মান দিতে বদ্ধ পরিকর এবং মুক্তি যোদ্ধা সংসদ জাতীয় মুক্তিযদ্ধা কাঊন্সিল ও মুক্তিযুদ্ধ মন্য্রনালয় আছে সেহেতু যখন ই কোন মুক্তিযোদ্ধা আবেদন করবে তা গ্রহনকরে স রকারের সংস্থার মাধ্যমে তথ্য উপাত্ত যাচাই করে তা চুড়ান্ত করবে। তাতে ই জাতি তার বীর দের খুজে পাবে। এভাবে ঘটা করে জাতির অহংকার মুক্তিযোদ্ধাদের রাজনীতিক দূর্ণীতিবাজদের নিকট জিম্মি করে অর্থের বিনিময়ে তালিকা করা ভবিষ্যতে পুরো জাতিকে কুলশিত করবে। জয় বাংল 25/8/201 পূন:-- নওগাঁর "মুক্তি যোদ্ধা" গোলজার হোসেন বয়স ৮০ এর উপর, জলিল সাহেব তাকে মুক্তিযুদ্ধে নিয়েছিলেন বলে জানালেন। কাগজপত্র হারিয়ে ফেলেছেন। অনেকের কাছে গিয়েছেন অজ্ঞাত করণে এখনো স্বিকৃতি নাই। ঢাকার উত্তরায় রিকক্সা চালান তা আবার এলাকার লোকেরা জানেনা। তিন মেয়ে শিক্ষিত। তিন জন ই শিক্ষকতা করেন। বিয়ে হয়ে গেছে। করো করূনা নিতে চান না। স্ত্রী ও জীবিত। বললেন এ ভাবে চলতে চলতে মরতে চাই। আমি তার কথা শুনে মোহাম্মদ পুর বাবর রোডে জামুকা য় যেতে পরামর্শ দিলাম। আমরা বাঙ্গালীরা ত শুধু পরামর্শ দিতে তৎপর। তাই। যদি সরম লজ্জা থাকে, যদি মুক্তিযুদ্ধের প্রতি আদৌ কোন শ্রদ্ধাবোধ থাকে, যদি জাতিরজনকের সারা জীবনের কষ্টার্জিত ফসল মহান স্বাধীনতার প্রতি বিশ্বাস থাকে যদি জাতিরজনকের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সত্যিকারেই শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে সমর্থন করেন, যদি সত্যিই জীবনে একবার হলেও নৌকায় ভোট দিয়ে থাকেন, অনুগ্রহ করে আর এদিকে পা' বাড়াবেন না। অন্ততঃ ৩০ লক্ষ শহীদ, জাতীয় ৪ নেতা ও জাতিরজনকের বিদেহী আত্মাকে শান্তিতে থাকতে দিন। ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তে রঞ্জিত মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে কাউকে খেলতে দেয়া হবে। জীবন যায় যদি যাক। মোজামেল, সুবিদ আলী, ক্যাপ্টেন তাজ, আহাদ চৌধূরী রেদোয়ান আহমেদ সচিব হান্নান, মাসুদ সিদ্দিকী, কার রেহাই নেই; প্রয়োজনে আবার যুদ্ধ, গর্জে ওঠো মুক্তিসেনার সন্তানেরা। এ দেশ তোমার পিতার অবদান, এর গৌরব মহিমা সার্বভৌমত্ব সন্মান তোমাদেরকেই রক্ষা করতে হবে। আজ আর বঙ্গবন্ধু নেই, জাতীয় ৪ নেতা বেচে নেই; বঙ্গবন্ধুর রাজ্জাক নেই; শেখ মনি ভাই নেই, কে রক্ষা করবে? কে দায়িত্ব নেবে এই হায়েনা বটতলার উকিল মোজাম্মেল হকদের বিতাড়িত করার? হে আল্লাহ্, হে রহমানুর রহিম, হে সর্বশক্তিমান, তুমি স্বাক্ষী তোমার ফেরেশ্তাগন স্বাক্ষী, আকাশ বাতাস নদ নদী নালা বট বৃক্ষ তরু লতা মেঘ বৃষ্টি সবুজ বনানী পশু পাখী তোমার পবিত্র ক্বোরান স্বাক্ষী আমি ভারতে প্রশিক্ষন নেয়া মুক্তিযোদ্ধা। আমাকে যারা সমাজে রাষ্ট্রে স্বীকৃতির বদলে অপমান করেছে, তাঁদের তুমি বিচার কর; আমি এ বিচার জীবিত অবস্থায় দেখে যেতে চাই হে পরোয়ারদিগার; আমাকে যারা সমাজে হেয় করেছে, রাষ্ট্রীয়ভাবে অমর্যাদা করে তাড়িয়ে দিয়েছে; তুমি তাঁদের কঠিন শাস্তি প্রদান কর হে রাব্বুল আল আমিন। আমার দুটি কন্যা সন্তানকে যারা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বলে পরিচয় দিতে দেয়নি; সে আ ক ম মোজাম্মেল হকের ধ্বংস চাই; তুমি তাঁদের সন্তানের পরিচয় কেড়ে নাও হে মায়াবুদ; আর যদি আমি মিথ্যা ভূয়া ভন্ড মুক্তিযোদ্ধা হই; আমাকে তুমি ধ্বংস কর হে রাব্বুল আল আমিন। শেখ হাসিনা আজ বড় অসহায়; তার সাথে যারা আছে, ওরা নিজেদের ভাগ্যোন্নয়নের ধান্দায় ব্যস্ত। ওদের দ্বারা কোন প্রত্যাশা নেই; ওরা হাওয়া ভবনের চেয়েও ভয়াবহ। হায়রে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয়ের শিক্ষিত জনবল এবং দুর্নীতির আখড়া জামূকা? ৪৬ বছরেও মাত্র ২/৩ লক্ষ মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রণয়ন করতে পারলো না; লুন্ঠন করেই গেল; গদি বদল হল, কত যোদ্ধা মহাযোদ্ধা আসন গ্রহণ করিলো, উঠিল আবার বসিল, তালিকা করিল; পকেট ভরিল; আবার গেল; অন্যজন আসিল, তালিকা মুছিল; আবার লিখিল; আবার পকেট ভর্তি করিল এতবার ধর্ষণ করার পরেও হতভাগা মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক তালিকা ত দূরের কথা যাদের নাম রয়েছে তাঁদের নামের আসল বানান টূকুও সঠিকভাবে লিখতে পারেনি; কেমন মূর্খ চন্ডাল জাতিকে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা দিয়ে গেলেন? সামান্য কজন মুক্তিযোদ্ধার নাম পিতার নাম ও ঠিকানা শুদ্ধ করে লিখতে পারে নাই ৪৬ বছরে? এই আহাম্মক জাতিকে রক্ত দিয়ে গেলে হে পিতা? তোমার রক্তের মূল্য এরা দিতে জানে না। এরা তোমার নাম আদর্শ আর চেতনার বুলি আওড়িয়ে ফায়দা লুটে গেল; লুটপাট করে গেল-আমরা সব চুপ নিশ্চুম অধম অক্ষম অচেতন মুড় বাঙ্গালী রবী ঠাকুরের ভাষায় মানুষ না হয়েই মনুষ্যত্বের দাবী করে গেলাম। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল, মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাষ্টের কোটি কোটি টাকা লুটপাট, বেতন ভাতা উতসব ভাতা গ্রহণ করে সবশুন্য ঝুরি করেও একটি সঠিক তালিকা প্রণয়নে আওয়ামী লীগ, বি এন পি জাতীয় পার্টী আবার বি এন পি আবার আওয়ামী লীগ আবার বি এন পি এবং শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকার বদল হল, কোটি কোটি টাকা মন্ত্রী সচিব আমলা কর্মচারী কমান্ডারগণ লুন্ঠন করিয়াও মাত্র হাতে গোনা কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের নাম তালিকাভুক্ত করতে পারেনি; এ লজ্জা কার? এ লজ্জা হতভাগা শেখ মুজিবের? এ লজ্জা জাতীয় ৪ নেতার? এ লজ্জা শেখ হাসিনার? এ লজ্জা জেনারেল ওসমানীর? এ লজ্জা মুক্তিযুদ্ধের সকল নিবেদিত বুদ্ধিজীবী জ্ঞানি গুনি প্রাজ্ঞ নীতি নির্ধারকগণের? এ লজ্জা বর্তমান মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ শক্তির? এ লজ্জা কার? আ ক ম মোজাম্মেল হকের ত কোন লজ্জাই নেই; বিশ্ব বেহায়া হুসেইন মূহাম্মদ এরশাদের থেকে ছিনিয়ে এনে এ উপাধী মোজাম্মেল হক সাহেবকেই দেয়া হল। জামূকার চেয়ারম্যান, বদল হল কতবার? নেইম প্লেট বদল হল কতবার? কোন কোণ চেয়ারম্যান ও কমিটির বিভিন্ন অধঃস্থন কমান্ডারগণ এই ৪৬ বছরে কত শত কোটি টাকা আত্মসাত করেছেন? কে হিসেব নেবে আর কে হিসেব দেবে? মন্ত্রী ও সচিব থেকে পিওন পর্যন্ত এ যাবত যত টাকা বেতন নিয়েছে, যত ঘুষ নিয়েছে, টেবিল থেকে চেয়ার পর্যন্ত এমন কি অফিসের জ্বানালা দরজাও ঘুষ গ্রহণ করেছে, তাতে একটা নাম লেখার দাম পড়েছে ১২ কোটি টাকা।
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh5OVujLStwzzS7tVSNsdvrF0c4oHF_YBgmTc7uZqmqOD7HzrfZVKc1uweJ0MDtUldXJz7Xnox974zZEqN6XyDju1pW_YsLr3NWlSVsxWcpou_hzvE4fCjLFFq0d4YON8jBJGXMroXhaR4/s640/mojamme.jpg)
এই লুন্ঠন এই যে হরিলুটের বাতাসা বিতরন এর থেকে আসল মুক্তিযোদ্ধার ঘরে কত টাকা গিয়েছে? কে হিসেব দেবে? জাতিরজনক নেই; জিয়াও নেই, এরশাদ অর্ধ উন্মাদ, বাকী ঘসেটি বেগম আর শেখের বেটি। কার নিকট মুক্তিযোদ্ধারা যাবে? কার নিকট হিসেব চাইবে? কে দেবে হিসেব? বন্ধ হোক এ হরিলুট বাতাসা। বন্ধ হোক মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে প্রতারনার এ যন্তণাদায়ক হরিলুটের খেলা। বন্ধ হোক জাতিরজনকের বিদেহী আত্মাকে অশান্তিতে রাখার হীন পায়তারা। বন্ধ হোক ৩০ লক্ষ শহীদের বিদেহী আত্মাকে যন্তণা দেয়ার নামে মন্ত্রণালয়ের অরাজকতা।১৯৯৬ টার্মের ভুয়া অধ্যক্ষ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের চেয়ারম্যান আহাদ চৌধূরী মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাভুক্ত সংক্রান্ত প্রকল্পের কোটি কোটি টাকা আত্মসাতকারি এবং লাল বই নামকরনে সারা দেশ থেকে অসংখ্য অমুক্তিযোদ্ধার নাম লাল বইতে তালিকাভুক্ত করে নিজের পকেট ভর্তি করেছেন।
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi6r_ZU-zPBU84-Af0ppbPcd71poMhJ92B5dKMimOjMfWqJCAfwqvTKPD1JBDUKSu13PyecS0pWBckEq9V6-crrwDEpFyIOeKabiIB7fPm71dOOIJLlLdCWZbzRUXK0LnCdHTdt5_mHUae3/s1600/mukti.jpg)
যে লাল বই এখন আওয়ামী লীগের প্রধান সম্বল বলে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মুক্তিযোদ্ধারা দাবী করছেন, সে লাল বইয়ে অসংখ ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার নাম তালিকাভুক্ত করেছেন এই আহাদ চৌধুরী । একবার লুট করে খেয়েছেন। আবার আসতে চাইছেন। এদের আবার সুযোগ দেবার বদলে এদের প্রত্যাহার করুন; ঘৃণা করুন; নইলে আবার শুরু হবে আহাদ চৌধূরীর ভাগ্নে চান ভাইয়েদের দৌরাত্ব লুন্ঠন এবং সন্ত্রাস।মহান যুদ্ধের মহিমাকে যারা ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে কলুষিত করেছে, তাঁদেরকেই আবার ২০১৯ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়ন করে লুটপাটের সুযোগ দিলে ৩০ লক্ষ শহীদ ও জাতিরজনকের সাথে বেঈমানী করা হবে। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্তকরণের নামে কোটি কোটি টাকা উপার্জন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে বিদেশী অতিথিদের "মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সন্মাননা" পদকের স্বর্ণ চুরি করে দেশি বিদেশী সকল মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে বেঈমানী করা ক্যাপ্টেন তাজের বিরুদ্ধে কেন কোন কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়া হল না? মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তাজুলকে কলকাতায় জড়িত থাকার বিষয়টি জানায়। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি তাদের মতামত ইসলামের অব্যবহারণে দাখিল করেছে, যারা এখন খুব কমিটির প্রধান। গত বছরের ২4 এপ্রিল প্যানেলটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বিদেশী বন্ধুদের কাছে স্বর্ণের ক্রিস্টদেরকে সোনার পরিমাণের চেয়ে কম পরিমাণে অভিযোগের তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তদন্তের জন্য এটির আহবায়ক মো। আফসারুল আমিনসহ একটি উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন মন্ত্রী তাজুল ইসলাম মৃত্তিকা প্রদত্ত কর্মসূচির আওতায় আক্রান্ত হন। জালিয়াতি অভিযোগের পর, মন্ত্রণালয়, যখন এটি AKM Mozammel হক দ্বারা চালানো হয়, একটি কমিটি গঠিত। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, তদন্তে তাজুলের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে, 13 মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা, সাবেক সচিব মিজানুর রহমান ও কে এইচ মাসুদ সিদ্দিকী এবং এই দুর্নীতির বেসরকারি সরবরাহকারীরা।দেশে কি বিচার ব্যবস্থার এতই অবনতি হয়েছে যে একজন মুক্তিযোদ্ধাকে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী লাঞ্ছিত করছে আর তার বিচার হচ্ছে না? তাহলে জামাত বি এন পি র অত্যাচারী স্বৈরাচারী সরকার আর মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব প্রদানকারী সফল রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের মধ্যে পার্থক্য কোথায়? জামাত শিবির মুক্তিযোদ্ধাদের মার ধর করে, আমরা প্রতিবাদ করি। আজ আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী ভারতে প্রশিক্ষন নেয়া একজন মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিত করছে; তার কেন প্রতিবাদ হল না? তার কেন বিচার হবে না? তাহলে কি আওয়ামী লীগ সরকার ও মন্ত্রী পরিষদ স্বেচ্ছাচারী হিসেবে ইতিহাসে নাম লিখতে যাচ্ছে? হারিয়ে যেতে বসেছে মহান মুক্তিযুদ্ধের ত্যাগ মহিমা গৌরব ও হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর সারা জীবনের তপস্যা সাধনা শ্রম ও জেল জুলুমের মহাত্ম? ৩০ লক্ষ শহীদদের আত্মত্যাগের মহিমা কি এই আ ক ম মোজাম্মেল হকদের দ্বৌরাত্বের নিকট হেরে গেল? ২ লক্ষ ৪০ হাজার মা বোনের ইজ্জত ও সম্ভ্রমের কি মর্যাদা প্রদান করলো আওয়ামী লীগ? প্রতিকার চাই। বিচার চাই; এটাই শেখের বেটির নিকট শেষ প্রত্যাশা। আওয়ামী লীগের পা চাটেন? চাটেন, এই নিচের ছবিটি কার জানেন? আমার ভারতের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নিউজিল্যান্ড প্রবাসী হানিফ মাহমুদের। শুনে বড় কষ্ট পাবেন যে এই হতভাগা হানিফ মাহমুদের নামও মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নেই। এর পরেও আ ক ম মোজাম্মেল হকের মত শুয়োরের বাচ্চাদের আপনারা ভোট দেবেন? মন্ত্রী বানাবেন? জুতা পেটা করুন ওদের। ওরা মুক্তিযোদ্ধা নামের কলঙ্ক। ওরাই প্রকৃত রাজাকার। ওদের ফাঁসি দিন যারা গরীব দুখি হতভাগা মুক্তিযোদ্ধাদের নাম কেটে দিয়ে নিজেদের আত্বীয় স্বজন ও রাজাকারের বংশধরদের মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে ভাতা প্রদান করে। মোজাম্মেল হকদের প্রতিশোধ নিতে হবে ব্যালটের মাধ্যমে।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছে; মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা দিয়েছে আর ক্যাপ্টেন তাজ আহাদ চৌধূরী রেদোয়ান আহমেদ সুবিদ আলী ভুইয়া ও আকাইম্মা মোজাম্মেল হককে দিয়েছে কোটি টাকার ব্যাংক ব্যালেন্স করার সুযোগ। সূতরাং "আপনার মন্ত্রীদের কর্মকাণ্ডের সুফল কুফল দুটোই আপনি ভাগিদার কারন আপনি দলীয় প্রধান এবং সরকার প্রধান। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, খবর নিন; কি হচ্ছে দেশের অভ্যন্তরে? কি করছে আপনার গুনধর মন্ত্রীগণ? কি করছে দেশের জেলা উপজেলায় মুক্তিযুদ্ধের নামে, বঙ্গবন্ধুর নামে কমান্ডার নামের ডাকাতদল? বিগত বছরের সকল উন্নয়নের প্রশংসা যেমন আপনার প্রাপ্য ঠিক আমলা মন্ত্রী নেতা নেত্রীদের অপকর্মের দুর্নামও আপনার জীবন খাতায় লিপিবদ্ধ হবে; ইতিহাস তাই বলে। জাতিরজনক চুরি করেনি, জাতিরজনক সরকারী কোষাগার থেকে নিজের বেতনও অনেক সময় গ্রহন করেন নি; সেই বংগবন্ধুকেই এই গাজী গোলাম মোস্তফাদের মত চোরের দল কম্বল চুরি করে আওয়ামী লীগের ৩০ বছরের সুনাম খ্যাতি অর্জন এবং বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ তিতিক্ষাকে ধুলায় লুন্ঠিত করে কলঙ্কিত করেছিল। আপনি কি তেমনি কলংকের থেকে বাচতে পারবেন? মোটেই না। চুরি করে ডাকাতি করে সন্তান আর মানূষ ডাকে চোরের বাবা বলে। আওয়ামী লীগের অধঃপতন হোক, এমন কুশব্দ যেনো মূখে না আসে কখনো; কিন্তু পতনের বাঁশী কি শুনতে পান না আপা? আওয়ামী মন্ত্রী নেতাদের দুর্নীতি স্বজনপ্রীতি জামাত বি এন পির লোভী সন্ত্রাসীদের দলে ভিরিয়ে নিজের পকেট ভারী করার জঘন্য মনোবৃত্তির সংবাদ গুলো কি আপনার নিকট যায় না? আপনার অফিসে বাসায় চারিদিকে যে চামচগুলো তেলের ডিইব্যা নিয়ে আপনার পিছনে ২৪ ঘণ্টা দৌড়ায়, ওরা কি আপনাকে ১৯৭৪ এর দুর্ভিক্ষের মত দুঃসংবাদগুলো পৌছায়? আমার মনে হয় না। আপনি প্রতিদিনের সংবাদ পত্রে যা পড়েন, যা শোনেন, তাঁর অন্তরালের সংবাদ আপনাকে পড়তে দেয়া হয় না। আল্লাহ্ আপনাকে দীর্ঘায়ু দান করুন। অবহেলিত আসল মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রণয়নে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে সহায়তা করুন।
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjLixy2HC7_jNx0BWQdHehdxjnpoX5OxL8NgQo7kOW9sazxItmgZo1MTTBLJ_awLQbV5zNkRn37twQGZFpR2XfA5iaYyB-1ooh5jKCOVLb5Bdx3GEHK-_r4AjTM6CFnREGxSWweW6VlZbmV/s640/mukthi2.jpg)
মোকতেল হোসেন মুক্তি
মুক্তিযোদ্ধা
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি
মালদ্বীপ আওয়ামী লীগ
মালদ্বীপ বঙ্গবন্ধু পরিষদ
সময়৭১
কন্ঠশিল্পী
সঙ্গীত শিক্ষক
মালে
মালদ্বীপ